Monday 23 September 2013

এই দেশ হয়ে গেছে ইন্ডিয়া, আওয়ামীলীগ হয়েছে ভারতীয় আর আমি তালিবান

" এই দেশ হয়ে গেছে ইন্ডিয়া, আওয়ামীলীগ হয়েছে ভারতীয় আর আমি তালেবান "
জোস্নালোকিত আরিফ শেখ ( জ্যাস)

স্বপ্নের মাঝে মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গতকাল নিজেকে নিয়ে শুয়ে শুয়ে  আত্ব সমালোচনা করছিলাম। ঘুমিয়ে গেছি কখন জানি না। ভয়ঙ্কর একটা স্বপ্ন দেখলাম।

মাথাই নষ্ট ......

দৃশ্য পট ::→

ধুপ ধুপ করে দৌড়াচ্ছি। গন্তব্য মহাস্তানগড়। কাধেঁ AK 47, পকেটে কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেড, পিছনে দুইতিনটা ছোট পোটলা। যত দৌড়ানি দেই ততই যেন অলসতা লেগে যায়।
একসময় ঠিকই পৌঁছে গেলাম।

দেশ ভারতের একটি প্রদেশ হয়ে গিয়েছে। হাসিনা ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছে। তার ছেলে দিল্লির এক বড় নেতা।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর বদলে সবখানে BSF।
সকল Bgb কে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

আমি জঙ্গি হয়েছি। আমাদের এলাকার অনেক ছেলেই আছে আমাদের ইউনিটে। বিজিবির অনেকেই আমাদের সাথে কাঁধে কাধেঁ মিলিয়ে

আমরা দৌড়াচ্ছিলাম কারন আমাদের কে ড্রোন দিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিল ভারতীয় BSF। আমরা নিরাপদে  বেহুলা লৌখিন্দের পাশে আশ্রয় নিলাম। বৃস্টির মত গুলি বর্ষিত হয় অই ড্রোন গুলো থেকে, এজন্যই মুলত আমাদের নিরাপদে যেতে হয়।

রোজ আমাদের ৬ ওয়াক্ত নামাজ পড়া লাগে।
[[অবাক হইওনা, রোজ কয়েক জন করে ভাই শহীদ হয় আর তাদের জানাযা রোজই পড়তে হইতো, এই হিসাবে ৬ ওয়াক্ত ]]

আমরা একই ইউনিটে প্রায় দুই আড়াইশত ভাই থাকি।

হঠাৎ একদিন আমাদের নেতা আমাদের নিয়ে বাসের কেল্লা নামক কোন এক জায়গায় নিয়ে গেল। সেখানে দেখি অনেক অনেক ভাই।

আমি এক জায়গায় দেখলাম সোহাগ আহমেদ ভাই কে। গিয়ে মোসাফাহ করতে চাইলাম। কিন্তু বিদ্রুপ করে তিনি বল্লেন 'বাবু, এত দেরি কেন? '
আমি বল্লাম, ভাই আমি অসুস্থ ছিলাম আর এরই মাঝে প্রিটেস্ট হচ্ছিল তাই।
তিনি যাও ভাগো এখান থেকে।

কিছু না বলে সামনের দিকে গেলাম। হঠাৎ আরজেল ভাই।
তিনি আমার আগে আমাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আমার সাথে নেইলকাটার আছে কি না..?

আমি এবারও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় চুপ করে রইলাম। তিনি বুঝতে পেরে আমাকে একটা বাঙ্কারে নিয়ে গেল। দেখি সব বড় বড় নেতা সকল ইসলামিক দলের সুরা সদস্য গন। হেফাজত, জামায়াত, চর্মোনাই সব এখন ইসলামী ঐক্য গড়ে তুলেছেন।

আমি অবাক হয়ে তেনাদের কাছে বায়াত গ্রহণ করে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বাইরে গেলাম।

বারান্দায় দেখি অচিকীর্য। মানুষিক বিকলাঙ্গ হয়ে নিজের চুল নিজেই ছিড়ছে।
বিলাপসূচক কথা আউরাচ্ছে।
বার বার একই কথা বলছে  ' কেন মুজিব কে সর্বোকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বল্লাম? '

আমি চোখ বন্ধ করে তার কষ্ট অনুভব করলাম তার জন্য।

কিছু দিন ওখানে কাটলো নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। একদিন এলেন মাওলানা মৌদুদি।  এসেই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেন। রোজ রাতে তাহাজ্জুদ বাধ্যতামূলক করলেন। রাতে এসে তিনি নিজেই ডেকে দিতেন। আস্তে আস্তে হাত টিপতেন, আর অমায়িক ভাবে বলতেন ভাই উঠো! উঠো!!

একদিন আমি উঠলাম না তাহাজ্জুদ পড়তে। ফযরের নামাজও গেলো মিস হয়ে। উঠে দেখি ৮ টা বাজে।

একটু পর আমাকে ভরা মজলিসের সামনে হাজির করে বহিষ্কার করা হল। আমার ব্যাগ, কাপড়, জুতা, তোয়ালা সব কিছুই আমার গায়ে ছুড়লেন আল্লামা সাইদি। বল্লেন
" সওকান!! সওকান!! লিমান গইয়ারা মিম বাদি "

আমি পা ধরে গড়াগড়ি শুরু করলাম ....
__________________
স্বপ্ন ভেঙে গেলো। আব্বু ডাকতেছেন। আমি গভীর ভাবে ভীত হয়ে গেছিলাম।

হতভম্ব হয়ে কয়েক মিনিট ভাবলাম এইটা কি দেখলাম। যগাখিচুরির মিশ্রণ। কিন্তু অনেক অশুভ সংকেত এর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, এটা পরিষ্কার।।

আল্লাহ যেন অই দিন না দেখায়। হাসিনা যেন চীর বিদায় নেয় এই বার। ইসলামের চুরান্ত বিজয় যেন আমরা দেখতে পাই।।

পরিশেষে বলতে চাই...
"সত্যের সেনানীরা নেবেনাকো বিশ্রাম,
আমাদের সংগ্রাম চলবেই অবিরাম "

বিঃদ্রঃ বেশ কিছু দিন ইসলামিক গান গেয়ে ছিলাম।এ জন্য ময়দানে আমাকে সবাই কম্পন উপাধি দিয়েছিলেন।।

Thursday 19 September 2013

আমরা কি? কি চাই? কেন চাই? কিভাবে চাই?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বরাকাতুহু।
অনেক দিন পর ফিরে এলাম তোমাদের মাঝে। আশা করি সবাই ভাল আছো ভাই।
আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু
আজ আমার মনটা তেমন ভাল নাই।
তবুও একটু লিখতে চেষ্টা করলাম ...........

"আমরা কি চাই, কেন চাই, কিভাবে চাই "
জোস্নালোকিত আরিফ শেখ (জ্যাস)

আমাদের  পরিচয় →
আমরা মানুষ,সৃষ্টির সেরা জীব। আশরাফুল
মাখলুকাত। মহান আল্লাহ অসংখ্য ছোট বড় সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে শ্রেষ্ট
মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সব সৃষ্টিকেই
তিনি একটি নিয়মের অধীন করে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষকেই তিনি ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন।
মানুষ যা চায় তাই করতে পারে। এত বড় মর্যাদার সাথে তিনি মানুষকে করেছেন তার
খলিফা বা প্রতিনিধি। মানুষ সৃষ্টির আগে তাই তিনি ফেরেশতাদের ডেকে বললেন,
"আমি পৃথিবীতে আমার
খলিফা বা প্রতিনিধি প্রেরণ করব।" খলিফার কাজ হচ্ছে তার নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এবং পরে যার প্রতিনিধি তাঁর কাছে হিসাব দেয়া।

তোমার আমার  জীবন বিধান ইসলাম →

আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ায় পাঠালেন। সাথে দিলেন তার পক্ষ থেকে হিদায়াত। মানুষ যখনই তার দেয়া হিদায়াত ভুলে পথভ্রষ্ঠ
হয়েছে তখনি আল্লাহ পাঠিয়েছেন
নবী বা রাসূল। আল্লাহর সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি খাতামুন নাবিয়্যীন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন। তার পর আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষের
কাছে নিয়ে এসেছেন আল্লাহর সর্বশেষ গ্রন্থ আল কুরআন। 'কুরআন মানুষের জন্য হিদায়াত গ্রন্থ। রাসূল (সাঃ) আল্লাহ মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামকে পূর্ণতা দান
করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, 'আমি আজ
তোমাদের জন্যড় দ্বীনকে পূর্ণতা দান করেছি। আর তা হলো ইসলাম।'

মুসলমানের পরিচয়→

ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ। তাই মানুষের
মধ্যে যারা এ ইসলামকে কবুল করে বা আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের আত্মসমর্পণ করে তাদের বলা হয় 'মুসলিম'। কেবল মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই কেউ মুসলমান হয়
না, বরং কাফের মুশরিকের ঘরে জন্ম নিয়েও যদি কেউ ঈমান আনে এবং ইসলামের সব বিধি বিধান মেনে চলে তবে সেও মুসলিম। মানুষের মধ্যে মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ জাতি কুরআনের ভাষার "তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দাও আর
অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখো।" অন্য
স্থানে বলা হয়েছে "তোমাদের
মধ্যপন্থী জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন তোমরা মানুষের কাছে সত্যের সাক্ষ্য হতে পার।" কিন্তু আজ মানুষ ভুলে গেছে তার নিজের পরিচয়। মুসলমান ভুলে গেছে তার দায়িত্ব
ও কর্তব্য। ফলে জলে স্থলে সর্বত্র
চলছে অনাচার, অবিচার ও অশান্তির প্রবল স্রোত। মানুষে মানুষে চলছে হানাহানি, কাটাকাটি, হিংসা বিদ্বেষ, অসাম্য ও দুর্ভোগ হবে। কোটি কোটি বনি আদম অন্ন, বস্ত্র , বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে,অথচ লক্ষ লক্ষ টন খাদ্য সমুদ্রে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে, পারমাণবিক
অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়
হচ্ছে কোটি কোটি ডলার যাদের
মুখে শোনা যায় শান্তির বাণী তারাই আবার পরস্পরকে দেয় অস্ত্রের হুমকি। অসহায় মানুষ আলাহর কাছে ফরিয়াদ করছে মুক্তির জন্য। মুসলমানদের অবস্থাতো আরও করুন।
ভাইয়ে ভাইয়ে চলছে যুদ্ধ অথচ আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, আলজেরিয়া, ইরিত্রিয়া,
সাইপ্রাস, বসনিয়া, চেচনিয়াসহ পৃথিবীর
দিকে দিকে মুসলমানদের রক্ত
নিয়ে হোলি খেলতে বেদ্বীন জীবনে নেই সুখ, নেই শান্তি। নেই বহু মানুসের কোন আদর্শের ছবি। শিশু কিশোররাও আজ
বেড়ে উঠছে অনৈতিকতার মধ্য দিয়ে। এ
অবস্থা চলতে দিলে জাতির ভবিষ্যৎ হবে গাঢ় অন্ধকারময়। এর হাত হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একদল সচেতন লোকের। তাই এদেশেও আলাহর পথে তরুণদের ডাকার জন্য,
দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের আদর্শ ও
চরিত্রবানরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করা দরকার একটি আদর্শ সংগঠন।

একদিন →

সকল মানুষকেই মরতে হবে।
ফিরে যেতে হবে মহান  স্রষ্টার কাছে। কিয়ামতের প্রবল প্রলয়ে সকর কিছু ধ্বংস হয়ে মানুষের ভাল মন্দ বিচারের সময় এসে যাবে। সেদিন যাদের ভাল কাজের পরিমাণ বেশী হবে তারাই
পাবে মুক্তি, পাবে পুরষ্কার হিসেবে চির শান্তির স্থান জান্নাত। আর যাদের মন্দ কাজের পাল্লা হবে ভারী, তারা পাবে অবর্ণনীয় আযাব ভরপুর চির দূঃখের জাহান্নাম। যে যেখানেই যাবে সেখানেই থাকবে চিরদিন অন্তনকাল।
সেদিন অবশ্যই মানুষকে দুনিয়ার বর্তমান
অবস্থায় তার ভূমিকা ও কৃতকর্ম সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।
তাই আল্লাহ নিজেই সেদিনে মুক্তির
ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তিনি বলেছেন
তোমরা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ও জীবন দিয়ে লাড়াই কর, এটিই হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ। এতে তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করা হবে আর তোমাদেরকে জান্নাত প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশে প্রাবাহিত আছে ঝর্ণাধারা।”

সুতরাং →
আজকের এ অবস্থায় আমাদের উচিত ইসলাম সম্পর্কে জানা, কুরআন-হাদীস
পড়া এবং মানুষের মুক্তির জন্য আল্লাহর
পথে জিহাদ করা, সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ হতে মানুষকে রিত রাখা। কিন্তু এ কাজটি একা একা করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দলের। হযরত ওমর (রা) তাই বলেন, “দল ছাড়া ইসলাম হয় না।” আমাদের দেশের
অবস্থাও দুনিয়ার অন্য দশটি দেশের মত।
পৃথিবীর একটি দুরিদ্র জনপদ আই দেশ।
শতকরা ৪৪ জন মানুষ দারিদ্রা সীমার নীচে বাস করছে। মানুষের জীবনে নেই সুখ, নেই শান্তি। নেই কোন আদর্শের ছবি। শিশু কিশোরেরাও আজ বেড়ে উঠছে অনৈতিকতার মধ্য দিয়ে। এ
অবস্থা চলতে দিলে জাতির ভবিষ্যৎ হবে গাড় অন্ধকারময়। এর হাত হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একদল সচেতন লোকের। তাই এদেশেও আল্লাহর পথে তরুণদের ডাকার জন্য,
দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের আদর্শও
চরিত্রবানরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করতে চলো সবাই আল্লাহ আন্দোলন করি।
জমিন আল্লাহর তাই আইনও আল্লাহর চলবে ইনশাআল্লাহ।।

Wednesday 4 September 2013

কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার দোয়াঃ

রাব্বানাগ ফিরলানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত
আক্কদামানা ওয়ানছুরনা আলাল
কাওমিল ক্বাফিরীন।
(সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৪৭)

[অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহ এবং কোন কাজের সীমা লঙ্ঘনকে তুমি ক্ষমা কর, আমাদের ঈমান দৃঢ় রাখ
এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী কর।]

ক্ষমা ও রহমতের দোয়াঃ

রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর
রাহিমীন।

[অর্থঃ হে আল্লাহ্, আমাকে ক্ষমা করে দাও, আর আমার
প্রতি রহম কর, তুমিই তো উত্তম
দয়ালু।]

ক্ষমা প্রার্থনা →

আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন
তুহিব্বুল আফওয়া ফাআফূ
আন্নি ইয়া গাফুরু ইয়া গাফুরু
ইয়া গাফুরু।

[ অর্থঃ হে আল্লাহ্,তুমি নিশ্চয়ই
ক্ষমাকারী এবং ক্ষমা করা পছন্দ কর,
অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।]

ইমান মজবুত করার দোয়া →

আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

[অর্থঃ হে আল্লাহ্, তুমি আমাকে তোমার
যিকির করার, শুকর করার
এবং সুন্দরভাবে ইবাদাত করার
ব্যাপারে সাহায্য কর।]

বিশেষ দোয়া সুক্রিয়া জ্ঞাপণের →

রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও,
ওয়াবিল ইসলামী দ্বীনাও,
ওয়াবী মুহাম্মদীন নাবিইয়্যা।

[অর্থঃ আল্লাহকে প্রতিপালক, ইসলামকে জীবন ব্যবস্থা এবং মুহাম্মদ (সাঃ)- কে নবী মেনে নিয়ে আমি পূর্ণরুপে সন্তুষ্ট]

অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার দোয়াঃ

ওয়াছলিহলি ফী যুররিইয়াতি,
ইন্নি তুবতু ইলাইকা,
ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমীন।
(সূরা আহকাফ, আয়াতঃ ১৫)

[ অর্থঃআমার জন্য আমার সন্তানদের
মধ্যে প্রীতি দান কর, অবশ্যই
আমি তোমারই দিকে ফিরিতেছি এবং অবশ্যই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত ]

অস্থিরতায় পাঠ করার দোয়াঃ

আল্লাহু ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু
বিরাহমাতিকা আসতাগীছু।

[ অর্থঃহে চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী আল্লাহ্
তোমার রহমত দ্বারা আমাকে সাহায্য
কর।]

নেক সন্তানদের জন্য দোয়াঃ

রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন।

[অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা,
আমাকে নেককার সৎ-কর্মশীল সন্তান
দান কর।]

আল্লাহর বরোত্তের দোয়া

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী,
সুবহানান্নাহিল আযীম।

[অর্থঃ মহান আল্লাহ বড়ই পবিত্র, আল্লাহ বড়ই পবিত্র ও মহান।]

বিপদে আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য দোয়াঃ

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল, নি’মাল
মাওলা ওয়া নি’মাল নাসির।

[অর্থঃ মহান আল্লাহর সাহায্যই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম জামিনদার।
তিনি কতইনা উত্তম প্রভু এবং উত্তম
সাহায্যকারী।]

সন্তানদের প্রতি মাতা-পিতার দোয়া ও মাতা-পিতার জন্য সন্তানদের দোয়াঃ

রাব্বিজ আলনী মুতিমাছ
ছালাতি ওয়ামিন জুররি ইয়াতি,
রাব্বানা ওয়াতাকাব্বাল দুয়া,
রাব্বানাগ
ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল
মু’মিনিনা ইয়াওয়া ইয়াকুমুল হিসাব।
(সূরা ইব্রাহিম, আয়াতঃ ৪০-৪১)

[অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা,
আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানাও আর
আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও।
হে আল্লাহ্ আমার দোয়া কবুল
করে নাও। হে আল্লাহ্ আমাকে ও আমার
মাতা-পিতাকে আর সকল ঈমানদার
লোকদের সেদিন ক্ষমা করে দিও,
যেদিন হিসাব কার্যকর হবে।]

ঈমান ঠিক রাখার আমলঃ

ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা।

[অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী, আমার মনকে সত্য দ্বীনের উপর স্থিত কর।]

স্বামী-স্ত্রী-সন্তানদের জন্য দোয়াঃ

রাব্বানা হাবলানা মিন
আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও
ওয়াজ
আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা।
(সূরা আল ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪)

[অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা,
আমাদিগকে আমাদের স্ত্রী ও
সন্তান-সন্ততিগণ হতে নয়নের
তৃপ্তি দান কর
এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের
নেতা বানাও।]

Tuesday 3 September 2013

গুনাহ্ মাফের দোয়া -

রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মায়াল আবরার।

(সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩)

[ অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।]

ভুল করে ফেললে ক্ষমা চাওয়ার দোয়াঃ

রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম
তাগফির্লানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না
মিনাল খা’সিরিন।

[অর্থঃ হে আল্লাহ্, আমি   আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি।
এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর,
তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।]

ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করার দোয়া -

রাব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয
হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল
ওয়াহাব।
(সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ০৮)

[অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, সরলপথ
প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিওনা এবং তুমি আমাদের প্রতি করুনা কর, তুমিই মহান দাতা।]

মাতা-পিতার জন্য সন্তানের দোয়া

রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ঈয়ানী সাগিরা।
(সূরা বণী ইসরাইল, আয়াতঃ ২৩-২৫)

[অর্থঃ হে আল্লাহ্ আমার মাতা-পিতার
প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হউন,
তাঁরা শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ-
মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন।]

Sunday 1 September 2013

ফ্রেন্ডস চলেন, কিভাবে ট্রাকে সওয়াব পাওয়া যায় তা জানি।।

" ফ্রেন্ডস  চলেন,  কিভাবে ট্রাকে ট্রাকে নেকি পাওয়া যায় তা জানি "
জ্যাস।
____________________
1. আপনি প্রতিদিন
রাতে ঘুমাতে যাবেন এটাই
স্বাভাবিক। কিন্তু যদি আপনি ডান
কাধে ঘুমান এবং শুধু এতটুকু
চিন্তা করেন যে, এটা রাসুলের(সঃ)
সুন্নত। তাহলে খুব সহজেই সারারাত
ইবাদত করার
এবং সহজে নেকি উর্পাজনের উপায়
পেয়ে গেলেন। যদিও পরে হয়ত
আপনি ঘুমের ভিতর বাম
কাধে বা অন্যভাবে ঘুমাবেন তবুও
আপনি নেকি পেতে থাকবেন ইনশা-আল্লাহ্।

2. আপনি প্রতিদিন হয়ত 1,2 বা 3 বার
দাত পরিস্কার করেন। পরিস্কার করার
সময় শুধু এতটুকু চিন্তা করুন এটা সুন্নত।
ইনশা-আল্লাহ্ আপনি সহজেই অনেক
নেকি হাসিল করতে পারবেন।

3. পানি আপনি সব সময় ডান হাত দিয়ে পান করেন। এখন
থেকে চিন্তা করবেন ডান
হাতে পানি পান করা সুন্নত। আর জেনে রাখুন রাসুল(সঃ) প্রিয় 1/2টি খাবারের
মধ্যে পানি একটি খাবার।

4. ঘরে প্রবেশের সময় ডান
পা দিয়ে প্রবেশ করুন।

5. আপনি দুধ খেতে পছন্দ করেন। দুধ খান আর মনে মনে চিন্তা করুন রাসুল
(সঃ) দুধ পছন্দ করতেন।

6. মধু খেতে কার না ভাল লাগে। রাসুল
(সঃ) মধু পছন্দ করতেন। আর মধু যা মৃত্যু
ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ।

7. খেজুর, আঙ্গুর, ডালিম/বেদনা মজার
এইসব ফলগুলি রাসুল(সঃ) পছন্দ করতেন।

8. টয়লেটে আপনি প্রতিদিন যান। এখন
থেকে টয়লেটে প্রবেশের সময় বাম
পা দিয়ে প্রবেশ করুন। কারন এটাও
সুন্নত।

9. আপনি কম-বেশি প্রতিবেশির খোজ
খবর নিয়ে থাকেন। এখন
থেকে মনে রাখবেন এটা অনেক বড় নেক
আমল।

10. বন্ধুকে দাওয়াত দিয়ে হালাল
খাবার খাওয়ানো সুন্নত।

11. পোশাক পরার সময় ডান দিক থেকে শুরু করুন। করান এটাও সুন্নত।

12. আপনি সব সময় বসে ছোট(এস্তেনজা)
কাজটা করে থাকেন এখন
থেকে মনে রাখবেন বসে ছোট
(এস্তেনজা)কাজ করা সুন্নত।

13. আপনি কারো কাছ
থেকে পাওনা টাকা নিয়ে তার
সামনে দাড়িঁয়ে গুনতে শুরু করেছেন,
তখন মনে মনে বলুন টাকা গুনে নেওয়া ও
দেওয়া সুন্নত।

14. নিজের মা-বাব, স্ত্রী-সন্তান,
ভাই-বোনদের জন্য উপহার কিনলেন।
উপহার দেওয়া সুন্নত।

15. ফকিরকে এক টাকা দান করলেন
এটাও সুন্নাহ।

16. আত্বীয় স্বজনদের সাথে আপনার সম্পর্ক খুবই ভাল। তবে জেনে রাখুন,
আত্বীয় সম্পর্ক বিচ্ছেদ
কারী জান্নাতে প্রবেশ
করতে পারবে না।

নিঃসন্ধেহে আপনি রাসুলের অনেক প্রিয় উম্মত এবং প্রিয় বান্দা। আর এভাবেই আমরা খুব সহজেই অনেক
নেকি অর্জন করতে পারব।
যা আমাদেরকে জাহান্নাম
হতে রক্ষা করতে পারে(যদি আল্লাহ্ চান)।

আসলে আমাদের প্রতিটি কাজ
হওয়া উচিৎ আল্লাহর খুশির জন্যই।
কাউকে ভালবাসা বা ঘৃনা করা সবকিছুই
করতে হবে আল্লাহর জন্যই।

আমার জন্য দোয়া করবেন, সামনে পরিক্ষা।।