Monday 23 September 2013

এই দেশ হয়ে গেছে ইন্ডিয়া, আওয়ামীলীগ হয়েছে ভারতীয় আর আমি তালিবান

" এই দেশ হয়ে গেছে ইন্ডিয়া, আওয়ামীলীগ হয়েছে ভারতীয় আর আমি তালেবান "
জোস্নালোকিত আরিফ শেখ ( জ্যাস)

স্বপ্নের মাঝে মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গতকাল নিজেকে নিয়ে শুয়ে শুয়ে  আত্ব সমালোচনা করছিলাম। ঘুমিয়ে গেছি কখন জানি না। ভয়ঙ্কর একটা স্বপ্ন দেখলাম।

মাথাই নষ্ট ......

দৃশ্য পট ::→

ধুপ ধুপ করে দৌড়াচ্ছি। গন্তব্য মহাস্তানগড়। কাধেঁ AK 47, পকেটে কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেড, পিছনে দুইতিনটা ছোট পোটলা। যত দৌড়ানি দেই ততই যেন অলসতা লেগে যায়।
একসময় ঠিকই পৌঁছে গেলাম।

দেশ ভারতের একটি প্রদেশ হয়ে গিয়েছে। হাসিনা ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছে। তার ছেলে দিল্লির এক বড় নেতা।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর বদলে সবখানে BSF।
সকল Bgb কে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

আমি জঙ্গি হয়েছি। আমাদের এলাকার অনেক ছেলেই আছে আমাদের ইউনিটে। বিজিবির অনেকেই আমাদের সাথে কাঁধে কাধেঁ মিলিয়ে

আমরা দৌড়াচ্ছিলাম কারন আমাদের কে ড্রোন দিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিল ভারতীয় BSF। আমরা নিরাপদে  বেহুলা লৌখিন্দের পাশে আশ্রয় নিলাম। বৃস্টির মত গুলি বর্ষিত হয় অই ড্রোন গুলো থেকে, এজন্যই মুলত আমাদের নিরাপদে যেতে হয়।

রোজ আমাদের ৬ ওয়াক্ত নামাজ পড়া লাগে।
[[অবাক হইওনা, রোজ কয়েক জন করে ভাই শহীদ হয় আর তাদের জানাযা রোজই পড়তে হইতো, এই হিসাবে ৬ ওয়াক্ত ]]

আমরা একই ইউনিটে প্রায় দুই আড়াইশত ভাই থাকি।

হঠাৎ একদিন আমাদের নেতা আমাদের নিয়ে বাসের কেল্লা নামক কোন এক জায়গায় নিয়ে গেল। সেখানে দেখি অনেক অনেক ভাই।

আমি এক জায়গায় দেখলাম সোহাগ আহমেদ ভাই কে। গিয়ে মোসাফাহ করতে চাইলাম। কিন্তু বিদ্রুপ করে তিনি বল্লেন 'বাবু, এত দেরি কেন? '
আমি বল্লাম, ভাই আমি অসুস্থ ছিলাম আর এরই মাঝে প্রিটেস্ট হচ্ছিল তাই।
তিনি যাও ভাগো এখান থেকে।

কিছু না বলে সামনের দিকে গেলাম। হঠাৎ আরজেল ভাই।
তিনি আমার আগে আমাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আমার সাথে নেইলকাটার আছে কি না..?

আমি এবারও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় চুপ করে রইলাম। তিনি বুঝতে পেরে আমাকে একটা বাঙ্কারে নিয়ে গেল। দেখি সব বড় বড় নেতা সকল ইসলামিক দলের সুরা সদস্য গন। হেফাজত, জামায়াত, চর্মোনাই সব এখন ইসলামী ঐক্য গড়ে তুলেছেন।

আমি অবাক হয়ে তেনাদের কাছে বায়াত গ্রহণ করে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বাইরে গেলাম।

বারান্দায় দেখি অচিকীর্য। মানুষিক বিকলাঙ্গ হয়ে নিজের চুল নিজেই ছিড়ছে।
বিলাপসূচক কথা আউরাচ্ছে।
বার বার একই কথা বলছে  ' কেন মুজিব কে সর্বোকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বল্লাম? '

আমি চোখ বন্ধ করে তার কষ্ট অনুভব করলাম তার জন্য।

কিছু দিন ওখানে কাটলো নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। একদিন এলেন মাওলানা মৌদুদি।  এসেই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেন। রোজ রাতে তাহাজ্জুদ বাধ্যতামূলক করলেন। রাতে এসে তিনি নিজেই ডেকে দিতেন। আস্তে আস্তে হাত টিপতেন, আর অমায়িক ভাবে বলতেন ভাই উঠো! উঠো!!

একদিন আমি উঠলাম না তাহাজ্জুদ পড়তে। ফযরের নামাজও গেলো মিস হয়ে। উঠে দেখি ৮ টা বাজে।

একটু পর আমাকে ভরা মজলিসের সামনে হাজির করে বহিষ্কার করা হল। আমার ব্যাগ, কাপড়, জুতা, তোয়ালা সব কিছুই আমার গায়ে ছুড়লেন আল্লামা সাইদি। বল্লেন
" সওকান!! সওকান!! লিমান গইয়ারা মিম বাদি "

আমি পা ধরে গড়াগড়ি শুরু করলাম ....
__________________
স্বপ্ন ভেঙে গেলো। আব্বু ডাকতেছেন। আমি গভীর ভাবে ভীত হয়ে গেছিলাম।

হতভম্ব হয়ে কয়েক মিনিট ভাবলাম এইটা কি দেখলাম। যগাখিচুরির মিশ্রণ। কিন্তু অনেক অশুভ সংকেত এর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, এটা পরিষ্কার।।

আল্লাহ যেন অই দিন না দেখায়। হাসিনা যেন চীর বিদায় নেয় এই বার। ইসলামের চুরান্ত বিজয় যেন আমরা দেখতে পাই।।

পরিশেষে বলতে চাই...
"সত্যের সেনানীরা নেবেনাকো বিশ্রাম,
আমাদের সংগ্রাম চলবেই অবিরাম "

বিঃদ্রঃ বেশ কিছু দিন ইসলামিক গান গেয়ে ছিলাম।এ জন্য ময়দানে আমাকে সবাই কম্পন উপাধি দিয়েছিলেন।।

No comments:

Post a Comment