আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বরাকাতুহু।
অনেক দিন পর ফিরে এলাম তোমাদের মাঝে। আশা করি সবাই ভাল আছো ভাই।
আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু
আজ আমার মনটা তেমন ভাল নাই।
তবুও একটু লিখতে চেষ্টা করলাম ...........
"আমরা কি চাই, কেন চাই, কিভাবে চাই "
জোস্নালোকিত আরিফ শেখ (জ্যাস)
আমাদের পরিচয় →
আমরা মানুষ,সৃষ্টির সেরা জীব। আশরাফুল
মাখলুকাত। মহান আল্লাহ অসংখ্য ছোট বড় সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে শ্রেষ্ট
মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সব সৃষ্টিকেই
তিনি একটি নিয়মের অধীন করে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষকেই তিনি ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন।
মানুষ যা চায় তাই করতে পারে। এত বড় মর্যাদার সাথে তিনি মানুষকে করেছেন তার
খলিফা বা প্রতিনিধি। মানুষ সৃষ্টির আগে তাই তিনি ফেরেশতাদের ডেকে বললেন,
"আমি পৃথিবীতে আমার
খলিফা বা প্রতিনিধি প্রেরণ করব।" খলিফার কাজ হচ্ছে তার নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এবং পরে যার প্রতিনিধি তাঁর কাছে হিসাব দেয়া।
তোমার আমার জীবন বিধান ইসলাম →
আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ায় পাঠালেন। সাথে দিলেন তার পক্ষ থেকে হিদায়াত। মানুষ যখনই তার দেয়া হিদায়াত ভুলে পথভ্রষ্ঠ
হয়েছে তখনি আল্লাহ পাঠিয়েছেন
নবী বা রাসূল। আল্লাহর সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি খাতামুন নাবিয়্যীন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন। তার পর আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষের
কাছে নিয়ে এসেছেন আল্লাহর সর্বশেষ গ্রন্থ আল কুরআন। 'কুরআন মানুষের জন্য হিদায়াত গ্রন্থ। রাসূল (সাঃ) আল্লাহ মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামকে পূর্ণতা দান
করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, 'আমি আজ
তোমাদের জন্যড় দ্বীনকে পূর্ণতা দান করেছি। আর তা হলো ইসলাম।'
মুসলমানের পরিচয়→
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ। তাই মানুষের
মধ্যে যারা এ ইসলামকে কবুল করে বা আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের আত্মসমর্পণ করে তাদের বলা হয় 'মুসলিম'। কেবল মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই কেউ মুসলমান হয়
না, বরং কাফের মুশরিকের ঘরে জন্ম নিয়েও যদি কেউ ঈমান আনে এবং ইসলামের সব বিধি বিধান মেনে চলে তবে সেও মুসলিম। মানুষের মধ্যে মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ জাতি কুরআনের ভাষার "তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দাও আর
অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখো।" অন্য
স্থানে বলা হয়েছে "তোমাদের
মধ্যপন্থী জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন তোমরা মানুষের কাছে সত্যের সাক্ষ্য হতে পার।" কিন্তু আজ মানুষ ভুলে গেছে তার নিজের পরিচয়। মুসলমান ভুলে গেছে তার দায়িত্ব
ও কর্তব্য। ফলে জলে স্থলে সর্বত্র
চলছে অনাচার, অবিচার ও অশান্তির প্রবল স্রোত। মানুষে মানুষে চলছে হানাহানি, কাটাকাটি, হিংসা বিদ্বেষ, অসাম্য ও দুর্ভোগ হবে। কোটি কোটি বনি আদম অন্ন, বস্ত্র , বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে,অথচ লক্ষ লক্ষ টন খাদ্য সমুদ্রে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে, পারমাণবিক
অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়
হচ্ছে কোটি কোটি ডলার যাদের
মুখে শোনা যায় শান্তির বাণী তারাই আবার পরস্পরকে দেয় অস্ত্রের হুমকি। অসহায় মানুষ আলাহর কাছে ফরিয়াদ করছে মুক্তির জন্য। মুসলমানদের অবস্থাতো আরও করুন।
ভাইয়ে ভাইয়ে চলছে যুদ্ধ অথচ আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, আলজেরিয়া, ইরিত্রিয়া,
সাইপ্রাস, বসনিয়া, চেচনিয়াসহ পৃথিবীর
দিকে দিকে মুসলমানদের রক্ত
নিয়ে হোলি খেলতে বেদ্বীন জীবনে নেই সুখ, নেই শান্তি। নেই বহু মানুসের কোন আদর্শের ছবি। শিশু কিশোররাও আজ
বেড়ে উঠছে অনৈতিকতার মধ্য দিয়ে। এ
অবস্থা চলতে দিলে জাতির ভবিষ্যৎ হবে গাঢ় অন্ধকারময়। এর হাত হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একদল সচেতন লোকের। তাই এদেশেও আলাহর পথে তরুণদের ডাকার জন্য,
দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের আদর্শ ও
চরিত্রবানরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করা দরকার একটি আদর্শ সংগঠন।
একদিন →
সকল মানুষকেই মরতে হবে।
ফিরে যেতে হবে মহান স্রষ্টার কাছে। কিয়ামতের প্রবল প্রলয়ে সকর কিছু ধ্বংস হয়ে মানুষের ভাল মন্দ বিচারের সময় এসে যাবে। সেদিন যাদের ভাল কাজের পরিমাণ বেশী হবে তারাই
পাবে মুক্তি, পাবে পুরষ্কার হিসেবে চির শান্তির স্থান জান্নাত। আর যাদের মন্দ কাজের পাল্লা হবে ভারী, তারা পাবে অবর্ণনীয় আযাব ভরপুর চির দূঃখের জাহান্নাম। যে যেখানেই যাবে সেখানেই থাকবে চিরদিন অন্তনকাল।
সেদিন অবশ্যই মানুষকে দুনিয়ার বর্তমান
অবস্থায় তার ভূমিকা ও কৃতকর্ম সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।
তাই আল্লাহ নিজেই সেদিনে মুক্তির
ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তিনি বলেছেন
তোমরা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ও জীবন দিয়ে লাড়াই কর, এটিই হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ। এতে তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করা হবে আর তোমাদেরকে জান্নাত প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশে প্রাবাহিত আছে ঝর্ণাধারা।”
সুতরাং →
আজকের এ অবস্থায় আমাদের উচিত ইসলাম সম্পর্কে জানা, কুরআন-হাদীস
পড়া এবং মানুষের মুক্তির জন্য আল্লাহর
পথে জিহাদ করা, সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ হতে মানুষকে রিত রাখা। কিন্তু এ কাজটি একা একা করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন দলের। হযরত ওমর (রা) তাই বলেন, “দল ছাড়া ইসলাম হয় না।” আমাদের দেশের
অবস্থাও দুনিয়ার অন্য দশটি দেশের মত।
পৃথিবীর একটি দুরিদ্র জনপদ আই দেশ।
শতকরা ৪৪ জন মানুষ দারিদ্রা সীমার নীচে বাস করছে। মানুষের জীবনে নেই সুখ, নেই শান্তি। নেই কোন আদর্শের ছবি। শিশু কিশোরেরাও আজ বেড়ে উঠছে অনৈতিকতার মধ্য দিয়ে। এ
অবস্থা চলতে দিলে জাতির ভবিষ্যৎ হবে গাড় অন্ধকারময়। এর হাত হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একদল সচেতন লোকের। তাই এদেশেও আল্লাহর পথে তরুণদের ডাকার জন্য,
দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের আদর্শও
চরিত্রবানরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করতে চলো সবাই আল্লাহ আন্দোলন করি।
জমিন আল্লাহর তাই আইনও আল্লাহর চলবে ইনশাআল্লাহ।।
No comments:
Post a Comment